এখনও বেঁচে আছেন বিক্রম গোখলে, ভুয়ো মৃত্যু সংবাদে ক্ষুব্ধ স্ত্রী

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

দিন পনেরো ধরেই হাসপাতালে ভর্তি হিন্দি ও মারাঠি বিনোদন দুনিয়ার পরিচিত মুখ বিক্রম গোখলে। যদিও পরিবারের তরফ থেকে এতদিন বিষয়টা লোকচক্ষুর অন্তরালেই রাখা হয়েছিল। বুধবার বিকেলের দিকে ANI-এর এক টুইট থেকে জানা যায়, গুরুতর অসুস্থ তিনি। তারপরই রাতের দিকে ছড়িয়ে পড়ে মারা গিয়েছেন 'হাম দিল দে চুকে সনম'-এ ঐশ্বর্য রাই-এর বাবা হওয়া এই অভিনেতা। ভুয়ো খবরের ছড়িয়ে পড়ার পর এবার নীরবতা ভাঙল গোখলে পরিবার। বুধবার রাতে অভিনেতার মৃত্যুর খবর ভাইরাল হওয়ার পরে তাঁর স্ত্রী ব্রুশালি গোখলে জানালেন যে, বিক্রম এখনও শেষ হয়ে যাননি। গত রাত থেকেই তিনি বোধ হারিয়ে কোমায় আছেন। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন বুধবার দুপুরে কোমায় চলে গিয়েছে তাঁর স্বামী। আপাতত তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে। বারুষী এটাও জানিয়েছেন যে মাল্টি অরগ্যান ফেলইওর হয়েছে বিক্রমের। বারুষী সংবাদমাধ্যমে আরও জানিয়েছেন যে তাঁর স্বামী পুনের দীননাথ মঙ্গেশকর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৫ নভেম্বর থেকে। বুধবার রাতের দিকে তাঁর মারা যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে উদ্বিঘ্ন হয়ে পড়ে বিনোদন জগতের অনেকেই। এমনকী টুইটারে শোকবার্তা দেন অজয় দেবগন, রীতেশ দেশমুখ, আলি গোনি, জাভেদ জাফরির মতো তারকারাও। 

সংবাদমাধ্যমকে বারুষী জানিয়েছেন, 'গতকাল দুপুরেই ও কোমায় চলে গিয়েছে। তারপর থেকে ছুঁলে আর কোনও প্রিতিক্রিয়া দিচ্ছে না। ভেন্টিলেটরে রয়েছে। ডাক্তাররা আগামীকাল সকালে ঠিক করবে কী করবে এটা দেখে যে ও চিকিত্‍সায় কী প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে। একটু উন্নতি হয়েছিল কিন্তু আবার যেই কে সেই। ওর হার্ট আর কিডনিজনিত একাধিক সমস্যা ছিল। এই মুহুর্তে ওর মাল্টি-অরগ্যান ফেলইওর হয়ে গিয়েছে। দীননাথ মঙ্গেশকর হাসপাতালের ডাক্তার ধনঞ্জয় কেলকরও জানিয়ে দেন যে বিক্রম গোখলের মারা যাওয়ার যে খবর রটেছে তা 'ভুয়ো'। অভিনেতার মেয়ে জানিয়েছেন, 'ওঁর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। তবে মারা যায়নি এখনও। ওঁর জন্য সকলে দয়া করে প্রার্থনা করুন।' অবস্থা সঙ্কটজনক অভিনেতার। ইতিমধ্যেই সানফ্রানসিস্কো থেকে অভিনেতার মেয়ে এসে পৌঁছে গেছে পুণেতে। অন্য জন পুণেতেই আছেন। দাপুটে অভিনেতার শরীর খারাপ নিয়ে এখনও অবধি মৌন বলিউড। হয়তো মনে মনেই চলছে প্রার্থনা! হাম দিল দে তিুকে সনম, খুদা গওয়া, অগ্নিপথের মতো হিন্দি ছবিতে কাজ করেছেন। ২০১০ সালে জাতীয় পুরস্কার পান মারাঠি সিনেমা অনুমতির জন্য। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছে শিল্পা শেট্টির নিকাম্মা-তে চলতি বছরের জুন মাসে।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sampriti Gole

Related News