শিশুদের জন্য শীতে যত্নের গাইড

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk :

বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের ও ত্বকের যত্ন বাড়তে পারে। বাচ্চাদের ত্বক বড়দের তুলনায় অনেক বেশি সংবেদনশীল। তাই একটুও অসাবধানতা ত্বকের বড়োসড়ো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই শীতে শিশুর যত্ন নিতে তার স্বাস্থের প্রতি বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হয়। একটু অসাবধানতা ডেকে আনতে পারে অনেক বড় সমস্যা। এই শীতে শিশুর সঠিক পরিচর্যা ও সুস্বাস্থের প্রতি অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি যত্নবান হোন। তাই এই লেখাটি ভালোভাবে পড়ে বুঝে নিন শীতে শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় ও শীতে শিশুর পরিচর্যার কৌশল। বাচ্চাদের ত্বকের যত্নে কিছু বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক, শীতকালে বাচ্চাদের ত্বকের যথাযথ যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। জ্বর, সর্দি কিংবা কাশি -এসব শীতের সাধারণ ঘটনা। জ্বর, নাক দিয়ে পানি পড়া, কাশির জন্য বয়স অনুযায়ী সাধারণ ওষুধেই ভালো হয়ে যায়। অনেকের আবার তাও লাগে না। লবণ পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার এবং বুকের দুধ ও পর্যাপ্ত তরল খাবার খাওয়ালেই ভালো হয়ে যায়। বাসক পাতার রস এবং মধুও ভালো কাজ দেয়। শীতে শিশুর সর্দি-কাশির বেশিরভাগই ভাইরাসজনিত। এগুলোয় সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো দরকার পড়ে না। তাই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অহেতুক অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার করলে শিশুর ক্ষতি হতে পারে। ঘরোয়া চিকিৎসাতেই অধিকাংশ সর্দি-জ্বর ভালো হয়। শীত থেকে বাচ্চাদের নিরাপদ রাখার প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ কাপড় পরানো। শীত থেকে রক্ষা করার জন্য শুধু গরম পোশাক পরালেই চলবেনা। বড়দের চাইতে বাচ্চা বা অল্প বয়স্ক শিশুদের শরীরে শীতের অনুভূতি বেশি থাকে। তাই বাচ্চাদের যাতে ঠাণ্ডা লেগে না যায় তার জন্য শীতের তীব্রতা অনুযায়ী পোশাক পড়াতে হবে। 

১থেকে ৬ বছর বয়সের শিশুর যত্ন
১. এই বয়সে শিশুরা অনেক খেলাধুলা ও দৌড়াদৌড়ি করে থাকে। তাই খুব বেশি গরম ও ভারী কাপড় পরার প্রয়োজন হয় না। তবে সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় ও বিকেলে খেলতে যাওয়ার সময় পর্যন্ত উষ্ণতা নিশ্চিত করুন।
২. বাচ্চাকে স্কুলে পাঠালে পরস্পরের মাধ্যমে শীতকালে কিছু ছোঁয়াচে চর্মরোগ হতে পারে। তাই বাচ্চার ত্বকের প্রতি খেয়াল রাখুন। নিয়মিত লোশন লাগান যেন ত্বক শুষ্ক হয়ে না যায়।
৩. শীতকালীন শাকসবজি ও ফল–কমলা, বরই বেশি করে খেতে দিন।
শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করে শীতের আবহকে উপভোগ করুন পরিপূর্ণভাবে। শিশুদের ত্বক বড়দের তুলনায় অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকে। শীতে তাদের ত্বক আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। ত্বক শুষ্ক হলে চুলকানি, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। তাই শিশুর ত্বক আর্দ্র রাখতে যত্ন নেওয়া জরুরি। শিশুর মুখে ও শরীরে বেবি লোশন, অলিভ অয়েল, গ্লিসারিন ইত্যাদি ব্যবহার করুন। বড়দের জন্য ব্যবহৃত লোশন ও গ্লিসারিন শিশু বাচ্চাদের শরীরে ব্যবহার করা যাবে না। যেসকল লোশন, অয়েল ও গ্লিসারিন আপনার বেবির শরীরের সাথে ম্যাচ করে, সেগুলো ব্যবহার করুন। বাজারে নকল পণ্যের ছড়াছড়ি, তাই শুধু ভালো ব্রান্ড দেখলেই কেনা যাবে না, আসল নকল যাচাই করে কিনতে হবে। নাহয় আপনার বেবির ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। শিশুর একবার কোন সাবান বা লোশনে অ্যালার্জি হলে সেই উপাদান থেকে তৈরি সাবান ও লোশন আর ব্যবহার করা যাবে না।


#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Aparna Dutta

Related News