শীতের মরসুমে ডুয়ার্সের জনবসতি এলাকায় বারবার ভাল্লুক হানা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk :

শীত পড়তে না পড়তেই প্রতিবারের মতো এবারও ভালুকের আনাগোনা শুরু হয়েছে ডুয়ার্সের চা বাগানের জনবসতি এলাকায়। লোকালয়ে ভাল্লুকের আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে এলাকাবাসীর। জানা গিয়েছে ,তাদের হানায় ফলে স্থানীয় মানুষদের মৃত্যুও হয়েছে। এর কারণে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে, ফলে পাল্টা জনরোষে মারা পড়েছে ভালুকও। চা বাগানের বসতিতে বারবার ভালুক কেন আসছে! তার কারণ খুঁজতে এবার  ভালুকসুমারির সিদ্ধান্ত নিল বন দফতর। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বর থেকেই রাজ্যে প্রথম ভালুক-গণনার কাজ শুরু হবে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পাহাড়ের পরিবেশপ্রেমীরা। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতের মরসুম শুরু হতেই পাহাড়ের বসতি এলাকায় ভালুকের হামলার আতঙ্কে তাদের উপর পাল্টা আক্রমণের ঘটনা দেখা গিয়েছে। ফলে তাদের অস্তিত্বও সঙ্কটে  মুখে পড়েছে।গত বছর মেটেলির একটি চা বাগানে ভাল্লুকের আক্রমণে মৃত্যু হয় এক যুবকের। এলাকাবাসীর পালটা হামলায় মারা যায় ভাল্লুকটিও। নাগরাকাটার ভগৎপুর চা বাগানেও ভাল্লুক হানা দেওয়ার খবর পাওয়া যায়। নাগরাকাটার ভগৎপুর চা বাগান থেকে ভাল্লুকটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে কাবু করে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। চলতি বছরেও দিন কয়েক আগেই মেটেলি, মালবাজার, মাদারিহাট-সহ বেশ কয়েকটি চা বাগানে ভালুকের দেখা মিলেছে বলে জানিয়েছিলেন স্থানীয়েরা। এমনকি, গত পনেরো দিনে ৬টি ভালুককে উদ্ধার  করা হয়েছে  বন দফতরের তরফ থেকে। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে , এর মধ্যে আটিয়াবাড়ি চা বাগান থেকে ১টি, মেন্দাবাড়ি বনবস্তি থেকে ২টি এবং লতাবাড়ি থেকে ৩টি ভালুক উদ্ধার করা হয়েছে  । উদ্ধার করা ২টি  ভাল্লুককে  বেঙ্গল সাফারিতে রাখা হয়েছে। বাকি ৪টিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বন দফতর। অন্য দিকে জানা গিয়েছে ,ডুয়ার্সের মালবাজারে এখনও বনকর্মীদের সঙ্গে একটি ভাল্লুক নাকি  লুকোচুরি খেলছে।

এবার   ভাল্লুকের  অস্তিত্বরক্ষা করার জন্য তাদের গণনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর। রবিবার মূর্তি টেন্ট ক্যাম্পে ভালুক গণনা সংক্রান্ত একটি প্রশিক্ষণ শিবির শুরু করা হয়েছে। বন দফতর সূত্রে খবর , আরও কয়েকটি প্রশিক্ষণ শিবিরের পর ডিসেম্বর মাস থেকে এই গণনার কাজ শুরু হবে। বন দফতরের এই সিদ্ধান্তের  ফলে  এভাবে বারবার ভালুকের হানা কমবে বলে মনে করছেন পরিবেশপ্রেমীরা। পশুপ্রেমী সংগঠনের এক কর্মকর্তা নফসর আলি বলেন, ‘‘শীত বাড়তেই মেটেলি, কুমলাই গুডহক, ধূপগুড়ি-সহ ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা বাগান এলাকায় ভাল্লুকের উপদ্রব বাড়ছে। ভাল্লুকের গণনা শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে বন দফতরকে ধন্যবাদ জানাব। এতে বোঝা যাবে, পাহাড় থেকে কত ভালুক আমাদের এলাকায় নেমে আসছে। ভাল্লুকরা কোন দিকে রয়েছে, তা-ও বোঝা যাবে এতে। এ নিয়ে একটি ট্রেনিংয়েরও আয়োজন করেছে বন দফতর।’’ সেই সঙ্গে তাঁর পরামর্শ, ‘‘যে সব চা বাগানে  ভাল্লুকের আনাগোনা রয়েছে, সেখানে বন দফতরের তরফে সচেতনতা শিবির করা হলে এলাকার লোকজনের সঙ্গে ভালুকের সংঘর্ষ হবে না।’’


#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Susmita Das

Related News