পৃথিবীর শীতলতম জায়গা অ্যান্টার্কটিকা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

পৃথিবীর দুর্গমতম এবং উচ্চতম মহাদেশ অ্যান্টার্কটিকা অ্যান্টার্কটিকা যেমন শীতলতম জায়গা তেমনি নির্জনতম মহাদেশও বটে। এখানেই দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি বাতাস চলাচল করলেও এ মহাদেশ সবচেয়ে শুষ্কতম । অ্যান্টার্কটিকা গড় তাপমাত্রা -৮৯.২ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেট মাঝে মাঝে এই তাপমাত্রা -৯৭.৭ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেট পর্যন্ত নেমে যায়। অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের কোন স্থায়ি অধিবাসী নেই এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর পূর্ব পর্য্যন্ত কোন মানুষ এই স্থানকে দেখেছিলেন বলে কোন প্রমাণ নেই। তবে এখন সারা মহাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গবেষনা কেন্দ্রগুলোতে সারা বছরে ১০০০ থেকে ৫০০০ লোক বসবাস করে। এখানকার স্থানীয় জীবজগতের মধ্যে রয়েছে । অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর সপ্তম মহাদেশ। বরফের চাদরে ঢাকা এ মহাদেশের প্রতি সবারই কম বেশি আকর্ষন রয়েছে। তলদেশে ভূমি আর ভুমির উপড়ে সম্পূর্ণরূপে বরফে আবদ্ধ। অ্যান্টার্কটিকায় বৈশিষ্টই টিভি মানুষকে আরোও বেশি আকর্ষিত করে। পৃথিবীর দুর্গমতম, উচ্চতম, শীতলতম, শুষ্কতম তথা নির্জনতম মহাদেশ আন্টার্কটিকা। এখানেই দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি বাতাস চলাচল করে। তবে এছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু অজানা তথ্য যা এই মহাদেশ সম্পর্কে নতুন করে ভাবাতে বাধ্য। অ্যান্টার্কটিকা বরফময় প্রান্তরে ঘুরে বেড়াতে এক রোমাঞ্চকর অনুভুতির স্বাদ অনেকেই পেতে চায়। রোমাঞ্চকর এ অভিযানে পেঙ্গুইনের মধ্যে হাঁটা আইসবার্গের পাশাপাশি কায়াক করতে পারেন এমনকি বসে বসে এই আশ্চর্যজনক ল্যান্ডস্কেপের শব্দের সিম্ফনি শুনতে পারেন।বিশ্বের শুষ্কতম স্থান আন্টার্কটিকা। এই মহাদেশের ড্রাই ভ্যালি অঞ্চল পৃথিবীর বুকে সবচেয়ে শুকনো এলাকা বলে চিহ্নিত।

বিশ্বখ্যাত মার্কিন হেভি মেটাল রকব্যান্ড মেট্যালিকা আন্টার্কটিকায় পারফর্ম করেছিল। তাদের জনপ্রিয় গান Freeze ‘Em All-এর শ্যুটিং হয়েছিল চিরতুষারের দেশে। উল্লেখ্য, মাত্র এক বছরে বিশ্বের সাতটি মহাদেশে অনুষ্ঠান করে নজির গড়ে মেট্যালিকা। আন্টার্কটিকাতেও রয়েছে পরমাণু চুল্লি। ১৯৬২ সাল থেকে এই মহাদেশের বুকে কাজ করে চলেছে মার্কিন পরমাণু চুল্লি ম্যাকমার্ডো স্টেশন। আন্টার্কটিকায় রয়েছে বিশ্বের দক্ষিণতম পানশালাটি। শীতলতম অবস্থানে একটু উষ্ণ হতে চাইলে ভার্নার্ডস্কাই গবেষণা কেন্দ্র লাগোয়া এই বার-ই ভরসা। পৃথিবীর বুকে শীতলতম তাপমাত্রা নথিভুক্ত হয়েছিল আন্টার্কটিকাতেই। ১৯৮৩ সালের ২১ জুলাই আন্টার্কটিকার ভস্তক স্টেশনে রেকর্ড হওয়া তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১২৮.৫৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট অর্থাত্‍ মাইনাস ৮৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে বায়ু স্রোত মহাসাগরগুলো উষ্ণ পানিকে এই এলাকায় নিয়ে আসছে এবং তার সংস্পর্শে এসে এই হিমবাহগুলোর বরফ গলে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের প্রকাশিত রিপোর্টগুলোর একটিতে বলা হচ্ছে, এন্টার্কটিকায় ছটি হিমবাহতে যে ভাবে বরফ গলে যাচ্ছে তা আর থামানো সম্ভব নয়। এক হিসেবে দেখা গেছে এই ছটি হিমবাহে যে পরিমাণ বরফ আছে তার সবই যদি গলে যায় তাহলে বিশ্বের সমুদ্রে পানির উচ্চতা প্রায় ১ দশমিক ২ মিটার বেড়ে যাবে - যার ফলে সাগরে তলিয়ে যেতে পারে পৃথিবীর অনেক অংশের নিচু জায়গা।


#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Aparna Dutta

Related News