হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় রাখুন আস্থা, মেনে চলুন কয়েকটি পরামর্শ

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

অনেকেই আছেন যাঁরা অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার থেকে হোমিওপ্যাথির ওপর বেশি ভরসা করেন। কোনও রোগ হলেই ছোটেন হোমিওপ্যাথির চিকিৎসা করাতে। এর পেছনে অনেকরই একটি ভাবনা কাজ করে, তা হল অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেলে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হয়, হোমিওপ্যাথিতে তা হয় না। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা একটি প্রাকৃতিক এবং প্রভাবশালী চিকিৎসা যা একাধিক রোগকে নির্মূল করতে সহায়ক। কিন্তু আপনি যখন হোমিওপ্যাথি কোন চিকিৎসার আওতায় থাকেন, তখন কিছু খাদ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা থাকে। মূলত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ঔষধ মৌখিক ভাবে গ্রহন করা হয়, এবং এর কিছু কণাগুলি মুখের গহ্বরে জমা হয় তাই এই সময় আপনাকে কিছু খাদ্য থেকে দূরে থাকতে হবে। যদি খাদ্য এবং ঔষধ গ্রহণের মধ্যে একটা নুন্যতম ফাঁক না থাকে, তাহলে কোন প্রতিক্রিয়া পাবেন না। তবে হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেলে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ আপনাকে মেনে চলতে হবে-

হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খাওয়ার ১০ মিনিট আগে বা পরে কিছু খাবেন না।

শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা - আপনি যখন শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার (যেমন সর্দি-কাশি) জন্য হোমওপ্যাথি ঔষধ গ্রহণ করেন তখন কোল্ড ড্রিংক্স, আইসক্রিম এবং অন্যান্য ঠাণ্ডা খাবার খাবেন না।

 হোমিওপ্যাথিক ওষুধ যতদিন খাবেন ততদিন কোনও রকম নেশা করবেন না। সিগারেট বা মদের মতো নেশাকর দ্রব্যে যে তীব্র সাপ্লিমেন্ট থাকে, তা ওষুধের কার্যকারিতাকে খর্ব করে দেয়।

 হোমিওপ্যাথিক ওষুধ কখনই হাতে নেবেন না। হাতে নিলে ওষুধের অভ্যন্তরীণ স্পিরিট উবে যায়। কাগজ কিংবা ওষুধের শিশির ঢাকনায় ঢেলে নিয়ে ওষুধ মুখে দিন।

 হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবনের আগে সাধারণ পানিতে ভাল করে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে নিন।

 ওষুধ খাওয়ার পরে কোনও টক খাবার সেবন করবেন না। এতে ওষুধের প্রভাব খর্ব হয়ে যায়।

 

অ্যালোপাথি কিংবা আয়ুর্বেদিক ওষুধের সঙ্গে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ রাখবেন না। এতে ওষুধের ক্ষমতা কমে যায়।

চিকিৎসা চলাকালীন চা এবং কফি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

কোনও ভাবেই অন্য কোনও রোগীর ওষুধ নিজে খাবেন না। একই রকমের রোগ হলেও অন্য রোগীর ওষুধ খাওয়া কখনওই উচিত নয়। কারণ মনে রাখবেন, রোগীভেদে হোমিওপ্যাথি ওষুধও কিন্তু বদলে যায়।

যে জায়গায় ওষুধটা রাখবেন, সেখানে যেন কোনও ভাবেই সরাসরি রোদ না আসে।

ওষুধের শিশির ঢাকনা কখনওই খোলা রাখবেন না। ঠান্ডা এবং অপেক্ষাকৃত অন্ধকার জায়গায় ছিপি বন্ধ অবস্থায় ওষুধের শিশি রাখুন।

ত্বকের সমস্যা - ত্বকের সমস্যার ক্ষেত্রে আপনাকে মশালাদার খাবার বা কৃত্রিম ধরণের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। আপনি যদি চান যে হোমিওপ্যাথি ঔষধ ভালো ভাবে কাজ করুক তাহলে আমিষ খাওয়াও বন্ধ করে দিন।

গ্যাসের সমস্যা - গ্যাসের সমস্যার জন্য যদি হোমিওপ্যাথি ঔষধ গ্রহণ করেন তাহলে মশলাদার খাবার, তৈলাক্ত জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। অ্যালকোহলও ত্যাগ করার চেষ্টা করুন।

শ্বেতী - শ্বেতীর সমস্যার জন্য যদি হোমিওপ্যাথি ঔষধ খান তাহলে কাঁচা, টক জাতীয় ফল খাবেন না। অন্যান্য টক জাতীয় খাবার যেমন দই এড়িয়ে চলুন। কম পরিমাণে মাছ এবং সামুদ্রিক খাবার খান।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Aparna Dutta

Related News