কাছের মানুষ

banner

# Pravati Sangbad Digital Desk:

অভিনয় -প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়,দেব, ইশা সাহা, সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়, তুলিকা বসু, রঞ্জিত মল্লিক
পরিচালনা- পথিকৃৎ বসু
প্রসেনজিৎ চট্যোপাধ্যায় ও দেব অভিনীত ‘কাছের মানুষ’ ছবিটি মানুষের জীবনকে নতুন ভাবে চিনতে সাহায্য করে। 'কাছের মানুষ 'মুক্তি পায় ২০২২ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুজোর সময়। রাজেন তরফদার পরিচালিত শক্তিপদ রাজগুরুর কাহিনি অবলম্বনে ‘জীবন কাহিনি’ ছবির নির্যাস নিয়ে পথিকৃৎ বসু তৈরি করেছিলেন ‘কাছের মানুষ’ ছবি। সেখানেও ছিল তিনটি মূল চরিত্র বিকাশ রায়, তাঁর মেয়ে সন্ধ্যা রায় ও
অনুপকুমার।আর ‘কাছের মানুষ’ ছবিতে প্রসেনজিতের বোন দেখানো হয়েছে ইশা সাহাকে।মৃত্যুর চেয়ে জীবন কতটা বড়, সেই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে 'কাছের মানুষ' ছবির মধ্যে দিয়ে। কুন্তল (দেব)এবং সুদর্শন (প্রসেনজিৎ  চট্টোপাধ্যায়) দুই ব্যক্তির জীবনের কাহিনিকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে ছবির চিত্রনাট্যটি। তারা দুজনেই বারবার ব্যর্থ হয়েছে। ফলে বাঁচার কোনও ইচ্ছে নেই কুন্তলের । কুন্তল যখন রেললাইনে আত্মহত্যা করতে চায়, তাকে আটকায়  সুদর্শন আর এখান থেকেই দুই ব্যক্তির পরিচয়। এরপরেই বাঁক নেয় ছবির গল্প। এল আই সি এজেন্ট সুদর্শন  জানতে পারেন কুন্তল অসহায়। সব টাকা চিট ফান্ডে চলে গিয়েছে। সে দুঃখে ভাই আত্মহত্যা করেছে। বাবা নেই। ভাইয়ের শোকে মা-ও অসুস্থ। বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেন না। এমন অবস্থায় সেই কুন্তলের নামে পলিসি করাতে চান সুদর্শন। কারণ, সে পলিসির শর্ত হল, দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটলে তার নমিনি পাবেন ১০ লক্ষ টাকা। আর তাই কুন্তলের পলিসির নমিনি হবেন এজেন্ট নিজেই। পরিকল্পনা করে মরতে হবে কুন্তলকে। তা দেখতে যেন হয় দুর্ঘটনার মতো, খেয়াল রাখতে হবে। মৃত্যুর পর টাকা পাবেন সুদর্শন। তার এক ভাগ দিয়ে হবে বোন কুসুমের হার্টের অস্ত্রোপচার। যে কারণে এত দুশ্চিন্তা সুদর্শনের। সে টাকা জোগাড় করার জন্যই তো এত পরিকল্পনা। পলিসির বাকি টাকা ব্যবহৃত হবে কুন্তলের অসুস্থ মায়ের দেখাশোনায়। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজি হতে হয় কুন্তলকে। কারণ আর কোনও উপায় নেই যে তাঁর হাতেও।এর মধ্যেই কুসুমের (ইশা) মতো মিষ্টি মেয়ের সঙ্গে দেখা হয় কুন্তলের। সহজেই ভালবাসা ডানা মেলে। কুন্তলের সঙ্গে নতুন করে জীবন শুরুর স্বপ্ন দেখে সে। নতুন প্রেমে মজে কুন্তল। কিন্তু মৃত্যু? গল্পের টার্নিং ঘোরে এখান থেকেই মুখ মুখোশের ভিড় চিনিয়ে দেবে পথিকৃৎ বসুর  'কাছের মানুষ'। এই সিনেমাটি নিঃসন্দেহে একটি খুবই চমৎকার সামাজিক সিনেমা।বাস্তবতাকে পরিচালক খুব সুন্দর ভাবে চিত্রায়ন করেছেন।কারিগরি দিক দিয়ে এই সিনেমাটি সম্পূর্ণ।চিত্রনাট্য যথাযথ এবং অপ্রাসঙ্গিক কোনো অংশ নেই। সম্পাদনা ,চিত্রগ্রহণ ও মিউজিকে খুবই পেশাদারিত্বের ছাপ রয়েছে। সিনেমার শুরু ও ঘটনা প্রবাহ দারুন ভাবে এগিয়েছে কিন্তু শেষটা ঠিক এই ছবির সাথে জাস্টিফাই করতে পারলো না।সস্তা কমার্শিয়াল মুভির মতো হয়েছে এই মুভির শেষটা। এই ছবিতে দেব অনবদ্য অভিনয় করেছেন। দেবের অভিনয় অনেক পাকা পোক্ত আর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় তো সেরাই। এছাড়া ঈশা সাহা অসাধারণ সাবলীল ভাবে অভিনয় করেছেন। এক কথায় অভিনয়ের দিক দিয়ে এই মুভি প্রথম শ্রেণীর। এদিকে, সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়কে কম দেখা গিয়েছে, খুব একটা চোখে লাগেনা ।গানগুলো ও দারুন তৈরী করেছেন কলাকুশলীরা।

#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Susmita Das

Related News