মুভি রিভিউঃ জুলফিকার

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk :

অভিনয়ে : প্রসেনজিৎ, দেব, যিশু সেনগুপ্ত, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, পাওলি দাম, নুসরত জাহান, অঙ্কুশ হাজরা, কৌশিক সেন, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, কাঞ্চন মল্লিক সহ একাধিক চেনামুখের অভিনেতা।
পরিচালক: সৃজিত মুখোপাধ্যায়  
২০১৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল যে বাংলা ছবিগুলি তার মধ্যে সবচেয়ে চর্চিত ছবি জুলফিকার। পরিচালনায় ছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সেই অটোগ্রাফ দিয়ে ২০১০ সালে সৃজিত মুখার্জীর পূজোয় যাত্রা শুরু। তারপর থেকে প্রতি বছরই তিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক দুর্দান্ত সিনেমা। আর তার সিনেমার অন্যতম বৈশিষ্ট্যই হল একটা সিনেমাতেই অনেকগুলো গল্প থাকবে। আরও ভাল ভাবে বলতে গেলে তিনি কোনও একটি বিশেষ মানুষজনের জন্য সিনেমা বানান না। তার সিনেমার দর্শকেরা সকল ধরনে মানুষ । এবার ফিরি তাঁর সিনেমা জুলফিকারের সমালোচনায় এই সিনেমায়  অভিনয়ে করেছিলেন প্রসেনজিৎ, দেব, যিশু সেনগুপ্ত, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, পাওলি দাম, নুসরত জাহান, অঙ্কুশ হাজরা, কৌশিক সেন, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, কাঞ্চন মল্লিক, কাইরা দত্ত সহ একাধিক চেনা মুখের অভিনেতা। বড় পর্দায়  প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আর দেবকে এই প্রথম একসঙ্গে নিয়ে এসেছিল সৃজিত মুখোপাধ্যায় । অপরাধ জগতের লোভ প্রতিহিংসার গল্পই সৃজিত মুখোপাধ্যায়  তুলে ধরেছেন এই সিনেমায়। কলকাতা বন্দরের সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা জুলফিকার আহমেদ ওরফে প্রসেনজিৎ। ক্ষমতাবান ও জনপ্রিয়ও বটে। বন্দর এলাকা প্রায় একা হাতে নিয়ন্ত্রণ করে সে। তবে নিজের কাছের লোক পিছন থেকে ছুরি মারে তাঁকে। নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে জুলফিকারের সঙ্গে বেইমানি করে। ব্যস এখান থেকেই গল্পের ট্যুইস্ট। তবে গল্পের যে মুখ্য চরিত্র, জুলফিকর, তার যে হত্যার দৃশ্য,  তার ঐ হত্যার দৃশ্য অবধি সাসপেন্সটা ধরে রাখা হয়নি, গল্পের গতিই যে এতটা দ্রুত! গল্পটাকে খুব তাড়াতাড়ি এগিয়ে জুলফিকরের হত্যার দৃশ্যে আনা হয়েছে।   অবশ্য  সে দৃশ্যে পরিচালক আমাদের হতাশ করেননি।  সেই দৃশ্যে  দর্শক নড়েচড়ে বসে। কিন্তু তারপর আবার গল্প শিথিল হয়ে পড়ে দ্রুততার জন্য।

এই ছবির সবচেয়ে বড় স্টার বললে হয়তো কম বলা হবে না প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে ৷ প্রথমভাগে ছবিতে তাঁর মৃত্যু ঘটলেও, বার বার আত্মা হয়ে ফিরে আসা, এবং হাত তুলে কৌশিক সেনকে কাছে ডাক।খুব একটা জমেনি। ছবিতে দেব নির্বাক ৷ দেবকে দেখে মনে হচ্ছিল তিনি আছেন নিজের ‘চ্যালেঞ্জ’ মার্কা ইমেজেই৷ তবে যাই হোক এই সিনেমায়  দেব কথা না বলে শুধুমাত্র চোখমুখ দিয়েই খুব সুন্দরভাবে মার্কাজ চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলেছে। তার অভিনয় দক্ষতা এই চরিত্রে প্রকাশ পেয়েছে খুব সুন্দরভাবে। পরমব্রত-র বিশেষ কিছু করার ছিল না সিনেমাটিতে ৷ তাই করেননি ৷ দুর্বল অঙ্কুশ, রাহুল ৷ মায়া হয় শ্রীজাতকে দেখে ৷ কষ্ট হয় পাওলির মতো অভিনেত্রীকে কোনও কাজেই লাগনো হল না ছবিতে ৷ গোটা ছবিতে নুসরত ফ্যালফ্যালে চোখে তাকিয়ে ছিলেন, আর বলেছেন ‘কিছু খেয়ে বেরিয়েছো?’ এটাই ছিল সৃজিতের টুইস্ট ! তবে বাসিরের চরিত্রে কৌশিক এবং কাশীনাথের চরিত্রে যীশু দুর্দান্ত। তাদের জন্যই যেন লেখা হয়েছে ঐ দুটো চরিত্র। সিনেমার এডিটিং ঠিক ভাল হয়নি, বিশেষ করে দু একটি জায়গায় খুবই অসামঞ্জস্যপূর্ণ। অনুপমের সুরে আমি আজকাল ভালো আছি ও এক পুরনো মসজিদে গান দুটি বেশ হিট হয়েছে। সত্যিই নচিকেতার  মসজিদে গানটি অসাধারণ ছিল । তবে সেটাকেও সৃজিত মুখোপাধ্যায়  হেলায় ব্যবহার করেছেন।  
#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image


#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Susmita Das

Related News