#Pravati Sangbad Digital Desk:
কলকাতায় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে পৌর নির্বাচনের। কলকাতা হাইকোর্ট ও রাজ্য সরকার এর সম্মতিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ স্থির করে জানিয়ে দিলেন। এবার পৌরসভা নির্বাচন এর বিরোধীদের সেভাবে প্রভাব পড়ছে না বিরোধীরা চেয়েছিল রাজ্যের সব কটি নির্বাচন এক সাথে করার জন্য। সে ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্ট রায় কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন ভারত এর জনতা পার্টি। তারা কোলকাতা হাইকোর্ট এর সিঙ্গেল বেঞ্চ এর রায় কে মান্যতা দিয়ে ডিভিশণ বেঞ্চ এ যান বিরোধিদের প্রধান ব্যক্তিরা। কোলকাতার সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর জন্য কোলকাতা হাইকোর্ট বলে দিয়েছে, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর দরকার নেই”। এ ছাড়া কলকাতা পুরোভোট ছেড়ে ভারত এর জনতা পার্টি, রাজ্য সভাপতি ও রাজ্য সভার বিরোধী নেতারা ধর্না মঞ্চ থেকে মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। শাসক দলের সব পক্ষের মতোবিরোধ ঘটলে তা নিয়ে বিরোধী দলের নেতারা মন্তব্য প্রকাশ করেছে।
পুরোভোট এর মুখে ফের বেসুরও হলেন রূপা গাঙ্গুলি। এবার বিরোধী দলের পতন ঘটছে। দেবাংশু ভট্টাচার্য্য বলেছেন যে, “এবার পুরোভোট খেলা হবে না”, পুরোভোট এর প্রচারে বেরিয়ে বললেন তৃনমূল মুখপাত্র। পুরোভোটের মুখে প্রচারে বেরিয়ে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিলেন, “দলের প্রধান অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, পুরোভোট এ মানুষের রায় কে সম্মান দিতে হবে।“
কলকাতা নির্বাচনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিল। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় প্রচারে বেরিয়ে দলীয় কর্মীদের কড়া বার্তা দেন, “কেঊ যদি ভোটের সময় ধমকায় বা চমকায়, কেঊ সহ্য করবে না”। “মানুষ বিরোধী দলের নেতাদের বিদায় দেবে,” বলললেন তৃনমূল মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জী। ৪ঠা ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। পরে সিপিএম ও আর-এস-পি কেঊই প্রত্যাহার করেনি। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের ভোটের একটি সম্মুখীন প্রভাব পড়বে।
কোলকাতা পৌর নির্বাচনের প্রচার তুঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী ও সাধারণ সম্পাদকেরও প্রচার তুঙ্গে। সাধারণ সম্পাদক দলীয় সমর্থকদের নিয়ে গতকাল বেলা ১ টা নাগাদ বালিগঞ্জ থেকে হাজরা মোড়ে একটি মিছিল আয়োজন করা হয়েছে।
মানুষের রায় মেনেই কলকাতা পৌর ব্যাবস্থা অনুষ্ঠিত হবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেছেন, “কাউস্নিলরদের সব সময় মানুষের পাশে থাকতে হবে, মানুষের কাছে গিয়ে মন দিয়ে কথা শুনতে হবে”। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় আর বললেন, “ভোট যাতে অবাধে হয় সে দিকে নজর দিতে হবে”। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “কাউস্নিলরদের সব সময় মাটির নীচে তাকাতে হবে, সব সময় মানুষের ফোন ধরে মানুষের অভিযোগ শুনতে হবে”। তিনি আরও বলেন, “মানুষের পাশে থেকে সব সময় সুখে দুঃখে থাকতে হবে, সব সময় ফোন ধরে মানুষের সাথে যোগাযোগ রেখে যেতে হবে, না হলে সে কাউন্সিলর থাকবে না। সে সেই জায়গা থাকে সরে দাঁড়াবে। কাউন্সিলরা যে যার নিজের জায়গা তে পরিদর্শন করবে, কোথাও কোনো সমস্যা হলে তা নির্মুলের ব্যাবস্থা নেবে।“
প্রতিটি ওয়ার্ড এর দলের কর্মীদের নজর রাখতে হবে। সবাই সবার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এবং কাউন্সিলরা নিজেদের এলাকাকে সুন্দর করে তুলবে কাউন্সিলর হই উঠবে যে যার ওয়ার্ড এর প্রিয় ও পছেন্দের মানুষ হয়ে উঠবে।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image
Journalist Name : Atreyo Mukherjee