অতি চিকিৎসাই ডেকে আনছে ডেঙ্গির বিপদ

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

চলতি বছরে ডেঙ্গি নিয়ে বারে বারে উঠে আসছে বহু নতুন খবর ।কখনো বা ডেঙ্গুর পারদ খুব উপরে চড়ছে। কখনো বা মহানগরী, বহরমপুর ,বসিরহাট ,নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর সহ একাধিক জেলায় ডেঙ্গি বেড়ে চলেছে। আবার কখনো বা দেখা যাচ্ছে প্লেটলেটের অভাবে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল গুলিতে ঠিকমতো চিকিৎসা করা হচ্ছে না। আবার এখন উঠে আসছে সম্পূর্ণ নতুন এক খবর । অতি চিকিৎসাই  নাকি ডেকে আনছে নতুন বিপদ। অভিযোগ উঠছে, বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল গুলিতে ডেঙ্গির জন্য প্রয়োজনীয় প্লেটলেট বা স্যালাইন অতিমাত্রায় রোগীদের ওপর ব্যবহারের ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে রোগীদের। ডেঙ্গিতে শরীরে জলাভাব দেখা যায়, তখন স্যালাইনের মাধ্যমে এই অভাব পূরণ করা হয় এবং কখনো কখনো  শরীরে  প্লেটলেট এর মাত্রা নির্দিষ্ট মাপের থেকে কমলেই শরীরে প্লেটলেট পাঠানো হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, রোগীর শরীরে ফ্লুইড ওভার ফ্লো বা প্লেটলেট এর আধিক্যের জন্য রোগীরা বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন।  কখনো কখনো মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে তাদের। অর্থাৎ শরীরে অতিরিক্ত সেলাইন বা প্লেটলেট এর ফলে এমন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তবে অধিকাংশ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা মনে করছেন এই সমস্যাগুলি বেশি দেখা যাচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালের। কারণ ,আপাতত যতজন মানুষ ডেঙ্গিতে বলি হয়েছেন তার মধ্যে বেশিরভাগ জনেরই মৃত্যু হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে। এছাড়াও সরকারি হাসপাতাল গুলি প্লেটলেট ও স্যালাইন দেওয়ার নির্দিষ্ট নিয়মাবলী মেনেই চিকিৎসা করছে বলে জানা যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য দপ্তরের ডেঙ্গু নজরদারি টিম বলছে, ডেঙ্গির ফলে কোন রোগীর দেহে জল শূন্যতা দেখা দিলে এবং রক্ত ঘন হলে প্রতি ঘন্টায় ১০ মিলিলিটার হিসেবে স্যালাইন চালানোর কথা এবং দিনে একবার করে প্যাক সেল ভলিউম (পিসিভি ) চেক করা দরকার। সেই হিসেব অনুযায়ী স্যালাইন চলবে না বন্ধ করবে তা নির্ণয় করা উচিত। না হলে ফুসফুসের ভেতর জল জমে মারাত্মক বিপদ হতে পারে। এমনকি কারোর হৃদপেশি দুর্বল হলে সে ক্ষেত্রে ওভার ফ্লুইড পাম্প না করতে পারায় মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। অনুচক্রিকার ক্ষেত্রেও একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। ট্রান্সমিশন মেডিসিনের শিক্ষক চিকিৎসক প্রসূন ভট্টাচার্য বলেন ,"প্লেটলেট শরীরে প্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে তিনটি নিয়ম রয়েছে। প্লেটলেটের সংখ্যা ৫০ হাজারের নিচে নেমে গেলে এবং অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হলে তা প্রবেশ করানো যায়। কুড়ি হাজারের কম হলে এবং সেই সংক্রান্ত শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলে তখন ,এছাড়া ১০ হাজারের কম হলে তখন দেওয়া যায়। এই তিনটি নিয়মের বহির্ভূত কোন কারনে প্রবেশ করানো হলে ভয়ানক ক্ষতি হতে পারে এবং সমস্যাটি প্রাণঘাতী হতে পারে। তবে এইসব নিয়ম কোথাও মানে হচ্ছে না বলেই মনে করা হচ্ছে। অনেক ডাক্তাররাও এক্ষেত্রে বেপরোয়া ভাবে কাজ করছেন। বেসরকারি হাসপাতাল মূলত জেলা স্তরের হাসপাতালগুলিতেই এইরকম সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। জেলার রাজ্যে স্বাস্থ্য আধিকারিক সিদ্ধার্থ নিয়গী বলেন," শুধুমাত্র ডেঙ্গি শক সিনড্রোমে সবাই  মারা যাননি ।কিছু জনের মধ্যে নানান অঙ্গ বা অর্গান ফেলিয়র এর মত ঘটনা দেখা দিচ্ছে"। আর এই সমস্ত কারণে হতে পারে হার্টফেলিয়ার, লিকুইড ওভার ফ্লো সহ একাধিক সমস্যা।
#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Srimita Sasmal

Related News