#Pravati Sangbad Digital Desk:
প্রতিবারই দুর্গাপুজোয় মূর্তি থেকে শুরু করে থিম, আলোকসজ্জা সবকিছুতে থাকে নতুনত্বের ছোঁয়া। বাঙালির মন সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে দুর্গাপূজার জন্য, তাই দুর্গাপূজার নতুনত্ব বরাবরই আকর্ষিত করে বাঙালিকে। এবার পূজা পরিক্রমায় আসতে চলেছে এক ভিন্ন স্বাদ, বিশ্বের যে কোন জায়গায় বসে উপভোগ করা যাবে দুর্গাপুজাকে মেটাভার্সের মাধ্যমে। কলকাতার বেশ কয়েকটি পূজা কমিটি এবারে ভার্চুয়ালিটির মাধ্যমে প্যান্ডেল পরিক্রমার ব্যবস্থা রাখতে চলেছে। এই মেটাভার্সের পুজোর দ্বারা সুদূর বিদেশে বসেও উপভোগ করা যাবে কলকাতার পূজা প্যান্ডেলের নতুনত্বের ছোঁয়া কে। ইতিমধ্যেই মহানগরীর চারটি বড় পূজাকে মেটাভার্সের মাধ্যমে ঠাকুর দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এই চারটি পূজো হল আহিরীটলা সার্বজনীন, দেশপ্রিয় পার্ক, বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন এবং টালা প্রত্যয় পূজা কমিটি। আশা করা যাচ্ছে এই শহরের আরও বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, অন্য অনেক পুজো কমিটি এই মেটাভার্সের মাধ্যমে দর্শকদের ঠাকুর দেখার সুযোগ করে দেবে। ইতিমধ্যেই প্রায় 40 টি দুর্গাপুজোর লাইভ স্ট্রিমিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এ বিষয়ে বালিগঞ্জ কালচারাল-এর সভাপতি তাকে ‘অমিতাভ সিনহা’ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, “কেউ যদি শিকাগো তে বসবাসকারী তার কোন কাকা বা লন্ডনে বসবাসকারী তার খুরতুতো ভাইয়ের সাথে বালিগঞ্জ কালচারের পূজাকে দেখতে চান, তাহলে কি হবে? তিনজনেই একটি অবতার ব্যবহার করে মেটাভার্সের মাধ্যমে প্যান্ডেলের ভিতরে অনুপ্রবেশ করতে পারবে। পুরোটাই হবে লাইভ। যার দিনে ইচ্ছা সে দিনে ঠাকুর দেখতে পারবে, যে রাতে চায় সে রাতে ঠাকুর দেখতে পারবে। এছাড়া ওই তিনজনই মেটাভার্স প্ল্যাটফর্মে চ্যাটের মাধ্যমে নিজেদের কথাবার্তা চালিয়ে যেতে পারবেন”। এই প্রযুক্তিগত উন্নতি সাধনের জন্য প্রযুক্তির অংশীদারদের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে, প্রপোটাইপ তৈরীর কাজও প্রায় শেষের মুখে। তাহলে দেখে নেওয়া যাক কিভাবে কাজ করবে এই মেটাভার্স; প্যান্ডেল তৈরির কাজ শেষ হলে, সেখানে একটি 3D ম্যাপ তৈরি করা হবে। ঠাকুরের কখনোই ডিজিটাল অবতার তৈরি করা হবে না এর কারণ, মূর্তি সব সময় আসলই দেখতে চায় বাঙালিরা। তাই ঠাকুর সব সময় লাইভ দেখা যাবে। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে বসে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট ব্যবহার করে পূজা প্যান্ডেলে যাওয়া যাবে এবং লাইভ এর মাধ্যমে পুজাৎ অংশগ্রহণ করা যাবে। তবে এই মেটাভার্সের মাধ্যমে পুজো উপভোগ করার জন্য একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট একান্ত প্রয়োজন। অবশ্য পুজো উদ্যোক্তারা ভেবেছেন তারা ল্যাপটপ থেকেও পুজো দেখার সুযোগ করে দেবেন কিন্তু সেক্ষেত্রে মেটাভার্সের যে ইমার্সিভ অভিজ্ঞতা, সেটি থেকে বঞ্চিত থাকবেন দর্শনার্থীরা।
#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image