#Pravati Sangbad Digital Desk:
সম্প্রতি ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, গত শনিবার নাকতলার বাড়ি থেকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করে তাকে। পার্থ ঘনিষ্ঠা অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে প্রায় নগদ ২০ কোটি টাকা, সেই সাথে কয়েক ভরি সোনার গহনা, অন্যদিকে বেলঘরিয়ার রথতলার ফ্ল্যাট থেকেও মিলছে বিপুল পরিমাণে অর্থ। এখানেই শেষ নয়, তদন্তকারী এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের দাবি, শুধু বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগই নয়, শিক্ষক বদলি এমনকি পদোন্নতির জন্যও বিপুল পরিমাণে টাকা নেওয়া হতো, আর তার পুরোটাই নিজেই দেখাশোনা করতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তদন্তকারী আধিকারিকরা আরও জানিয়েছেন, এই বিপুল পরিমাণ টাকা তোলার দায়িত্বে নিযুক্ত ছিলেন কয়েকজন সরকারি আধিকারিক, তাদের মাধ্যমেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই সমস্ত চক্র নিয়ন্ত্রণ করতেন।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে নেমে এই সমস্ত তথ্য উঠে এসেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এর সামনে। ইতিওমধ্যেই সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছিলো পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাক্তিগত সচিব সুকান্ত আচার্যকে, দফায় দফায় চলে জিজ্ঞাসাবাদ, সেই সাথে প্রাক্তন মন্ত্রীর সামনে বসিয়েও চলে দীর্ঘক্ষণ জেরা। ঠিক যেন টাকার হিমালয়, যার চূড়া ছোঁয়া কার্যত অসম্ভব বলে মনে করছেন অনেকেই, একের পর এক সম্পত্তি, বাণ্ডিল ভর্তি টাকা, সোনার বিস্কুট, ফটো ফ্রেম কিছুই বাদ নেই মন্ত্রীর বান্ধবীর বাড়িতে। রাজ্যের একাধিক প্রান্তে বাগান বাড়ি। স্থানীয় সূত্রে দাবি, মন্ত্রী প্রায়ই তাঁর প্রিয় বান্ধবীকে নিয়ে যেতেন সেই বাগান বাড়িগুলিতে। অনেকে আবার বলছেন, রাজ্য সরকারের কর্মীদের সমস্ত ডিএ পার্থ চট্টোপাধ্যায় একাই নিয়ে বসে রয়েছেন। অন্যদিকে গতকাল সকালেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অপসারনের দাবিতে সুর চড়িয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, তারপরেই সন্ধ্যে বেলাই নবান্নের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজ্যের সমস্ত দপ্তর থেকে বহিস্কার করা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে, শুধু তাই নয় তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত পদ থেকেও বহিষ্কার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।