রাসায়নিক সারের কালোবাজারির দাপটে দিশেহারা চাষীরা

banner

#West Midnapore:

ঊর্ধ্বমুখী আলু বীজের দাম এবং রাসায়নিক সারের কালোবাজারিতে মাথায় হাত আলুচাষীদের। সারের দাম অগ্নিমূল্য।আবার এই সুযোগে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী কালোবাজারি শুরু করে দিয়েছেন। তাতেই নাজেহাল চাষিরা। আর তাই আবারও চাষিদের মাথায় কালো মেঘ। চলতি বছরে অসহায় চাষিরা আলু চাষ কমিয়ে দিচ্ছেন বাধ্য হয়েই। কারণ রাসায়নিক সারে চলছে ভীষণ ভাবে কালোবাজারি।এমনই ছবি ধরা পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রামজীবনপুর, শ্রীনগর সহ বেশ কিছু এলাকায়। প্রিন্ট প্রাইসে রাসায়নিক সার পাওয়া যাচ্ছে না। প্রিন্ট প্রাইস  অর্থাৎ সরকারি দাম থেকে ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা বেশি মূল্যে রাসায়নিক সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা। যার ফলে চাষিরা আলু চাষ কমিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন। এখনও মাঠ থেকে কাটা ধান বাড়িতে ওঠেনি বাড়িতে। আবার আলু বসানোর তোড়জোড়ের শুরুতেই বড় সড় ধাক্কা চাষিদের।যেমন -


১) ডি.এ.পি র প্রিন্ট প্রাইস ১২০০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১৫০০- ১৬০০ টাকায়।

২)নবরত্না ১০.২৬.২৬ প্রিন্ট প্রাইস ১৪৭০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১৬০০- ১৯৫০ টাকায়।

৩)পটাশ প্রিন্ট প্রাইস ১১০০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১৩৫০- ১৫০০ টাকায়।


৪)ইউরিয়া প্রিন্ট প্রাইস ২৬৬ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪৫০ টাকায়।

  রাসায়নিক সারের এই কালোবাজারিতে স্থানীয় এগ্রিকালচার অফিসার ও প্রশাসনের উদাসীনতায় অসহায় হয়ে পড়েছেন আলুচাষিরা।

একদিকে আলু বীজের দাম বেড়েই চলেছে নিত্যদিন ,আর অন্যদিকে  রাসায়নিক সারের কালোবাজারি,এই দুই-এর চাপে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন আলু চাষীরা।  বারবার নিম্নচাপও চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে আলুচাষিদের কপালে। সব মিলিয়ে অসহায় হয়ে পরেছেন চাষীরা।


যেখানে  সরকার রাসায়নিক সারের প্রতি প‍্যাকেটের  ভর্তুকি  দিচ্ছে ফার্টিলাইজার কোম্পানিকে। তারপরও এত দাম বাড়াচ্ছে কেন  ফার্টিলাইজার ব্যাবসায়ীরা,

সেটাই বুঝতে পারছেন না ক্ষুদ্র চাষীরা,

রাসায়নিক সার বিক্রি হচ্ছে 1950-2,000 টাকায়। দ্বিগুণ দাম তাও নিরুপায় হয়ে সেই রাসায়নিক রাসায়নিক সার কিনতে হচ্ছে আলুচাষিদের। এই সারের  কালোবাজারি নিয়ে প্রশাসনের উদাসীনতায় দিশেহারা চাষিরা।


যদিও প্রশ্ন উঠেছে, প্রিন্ট প্রাইস এর ওপর কি দাম নেওয়া যায় ? কেন চাষিদের রাসায়নিক সারের অতিরিক্ত দাম নেওয়ার রশিদ দেওয়া হচ্ছে না ? কেন চাষিদের চড়া দামে রাসায়নিক সার কিনতে হবে ? কেন ব্যবসায়ীরা এই বিষয়ে মুখ খুলছেন না?অথচ চাষিদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন প্রশাসন। রাসায়নিক সারের কালোবাজারি নিয়ে কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? অবিলম্বে দ্রত পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি চাষিদের।তাদের দাবি প্রশাসন যেন অবিলম্বে এই কালোবাজারি বন্ধ করেন, তা না হলে আমাদের আলু চাষ বন্ধ করতে হবে, দাবি স্থানীয় এক আলুচাষীর।

#Source: online/Digital/Social Media News # Representative Image

Journalist Name : Sangita Rana

Related News